বুড়িমারী.কম

বঁধুর কোলেতে বধুয়া ঘুমায়, খোলেনি বাহুর বাঁধ, দীঘির জলেতে নাহিয়া নাহিয়া মেটেনি তারার সাধ। হায়রে করুণ হায়, এখনি যে সবে জাগিয়া উঠিবে প্রভাতের কিনারায়। তুমি যে কিশোর তোমার দেশেতে হিসাব নিকাশ নাই, যে আসে নিকটে তাহারেই লও আপন বলিয়া তাই। এখন হইবে লোক জানাজানি, মুখ চেনাচেনি আর, হিসাব নিকাশ হইবে এখন কতটুকু আছে কার। তোমার গোকুল আজো শেখে নাই ভালবাসা বলে কারে, ভালবেসে তাই বুকে বেঁধে লয় আদরিয়া যারে তারে।

বিহগ ছাড়িয়া ভোরের ভজন আহারের সন্ধ্যানে, বাতাসে বাঁধিয়া পাখা-সেতু-বাঁধ ছুটিবে সুদুর-পানে। হয়ত তাহারি অলকে বাঁধিতে মাঠের কুসুম ফুল, কতদূর পথ ঘুরিয়া মরিছ কত পথ করি ভুল। এখনো পাখিরা উঠেনি জাগিয়া, শিশির রয়েছে ঘুমে, কলঙ্কী চাঁদ পশ্চিমে হেলি কৌমুদী-লতা চুমে। তোমার গোকুল আজো শেখে নাই ভালবাসা বলে কারে, ভালবেসে তাই বুকে বেঁধে লয় আদরিয়া যারে তারে। মোদের মথুরা টরমল করে পাপ-লালসার ভারে, ভোগের সমিধ জ্বালিয়া আমরা পুড়িতেছি বারে বারে।

সেই ব্রজধূলি আজো ত মুছেনি তোমার সোনার গায়, কেন তবে ভাই, চরণ বাড়ালে যৌবন মথুরায়! হেথা যৌবন মেলিয়া ধরিয়া জমা-খরচের খাতা, লাভ লেকাসান নিতেছে বুঝিয়া খুলিয়া পাতায় পাতা। মোদের মথুরা টরমল করে পাপ-লালসার ভারে, ভোগের সমিধ জ্বালিয়া আমরা পুড়িতেছি বারে বারে। হেথা যৌবন যত কিছু এর খাতায় লিখিয়া লয়, পান হতে চুন খসেনাক-এমনি হিসাবময়। তরুণ কিশোর ছেলে, আমরা আজিকে ভাবিয়া না পাই তুমি হেথা কেন এলে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *